“৫০৮ অমৃত ভারত স্টেশন, পুনরুন্নয়ন কাজ-এর ভার্চুয়াল শিলান্যাস প্রধানমন্ত্রীর “

নিঃ সঃ অন্ডাল : – আজ ৬ আগস্ট রবিবার সকালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল ৫০৮টি রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের শিলান্যাসের কাজের শুভ সূচনা করলেন । ভারতবর্ষে বিভিন্ন রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে সূচনা হয় । এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৩৭টি রেল স্টেশন আছে। আসানসোল ডিভিশনে ৫টি স্টেশন আছে। সেগুলি হল আসানসোল ,অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, কুমারডুবি, শিমুলতলা। যা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয় অন্ডাল রেল স্টেশনে। পূর্ব রেলের এই কাজের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশীষ ভরদ্বাজ বলেন, আসানসোল স্টেশনে এই কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। তা পেয়েছে একটি সংস্থা । এর জন্য ৪৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন আসানসোল ডিভিশনের পশ্চিমবঙ্গের অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি ও শিমুলতলা এই চারটি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ১৭ থেকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
তিনি বলেন, আসানসোল স্টেশনকে বিশ্বমানের স্টেশন করার কাজ আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করা হবে। অন্য চারটি স্টেশনের কাজ ২০২৪ এর মধ্যেই শেষ করা হবে।

আসানসোল স্টেশনে আধুনিকীকরণের পরে বিমানবন্দরে সাধারণত যে ধরনের সব সুবিধা থাকে সেগুলি সবই থাকবে বলে তিনি জানান। স্টেশনে ঢোকা ও বেরোনোর আলাদা আলাদা রাস্তা থাকছে। আলাদা বাতানুকুল বা শীততাপনিয়ন্ত্রিত যাত্রী প্রতীক্ষালয় থাকছে। শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা করে র‍্যাম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ।আধুনিক লিফটের ব্যবস্থা থাকছে। পুরো স্টেশনে সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হবে। থাকছে শপিং মল, আলাদা করে আধুনিক খাবার সরবরাহ, ক্যাফেটোরিয়া, বিমানবন্দরের মতো “চেক ইন” ও ” চেক আউট “এর ব্যবস্থা। ট্রেনের যাতায়াত সম্পর্কিত তথ্য আরও আধুনিক করা হবে। যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকেই যাত্রীরা দেখতে পারবেন কোন প্লাটফর্মে কোন ট্রেন ঢুকছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থাটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।                                 

অন্যদিকে অন্ডালে শচীনদার কুমার গোস্বামী সিনিয়র ডিএমই ডিজেল জানান যে আজ ৬ই আগস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাশয় অমৃত ভারত স্টেশন যোজনা যা সারা ভারতে ৫০৮ টি স্টেশন ভার্চুয়াল শিলান্যাস করলেন। যার মধ্যে আসানসোল ডিভিসানের মধ্যে পাঁচটি স্টেশন রয়েছে তার মধ্যে অন্ডাল স্টেশন, যা পুনরুন্নয়ন নতুন রূপে সাজানো হবে । এখানে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য চারটি চলন্ত সিঁড়ি এবং তিনটি লিফট লাগানো হবে এছাড়াও নর্থ সাইডে একটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে এবং একটি ওড়ালপুল তৈরি করা হবে যেটি ১২ মিটার চওড়া হবে। এর মূল্য কুড়ি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজটি ২০২৪ এর শেষের দিকে সমাপ্ত হবে এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন যে আজকে শুভ সূচনা হওয়ার পর থেকে জোরকদমে কাজ চলবে এর সঙ্গে আপনাদের সাহায্য একান্তভাবে কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page